JSC পরীক্ষার্থীদের অটো পাশ নয় বরং মূল্যায়নের ভিত্তিতে পরবর্তী শ্রেণীতে প্রমোশন | বিস্তারিত পড়ুন - Educoxbd Jobs

JSC পরীক্ষার্থীদের অটো পাশ নয় বরং মূল্যায়নের ভিত্তিতে পরবর্তী শ্রেণীতে প্রমোশন | বিস্তারিত পড়ুন

 



অটো পাশ দেওয়া হচ্ছে না জেএসসি পরীক্ষার্থীদের। পূর্ববর্তী এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল জেএসসি পরীক্ষার্থীদের অটো পাশ দেওয়া হবে কিন্তু সেই মতামত পরিবর্তন করা হয়েছে। 

স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যয়ান করা হবে বলে জানানো হয়েছে।  


JSC আর HSC Candidate যেন এক নির্ঘুম রাত্রি পারি দিতে হচ্ছে,  তাই না?

 তো অবশেষে গত 24 September মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, covid-19 এর কারণে চলতি বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (J.S.C) ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করা হলেও শিক্ষার্থীরা ‘অটো প্রমোশনে’ নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ পাবে না। যেকোনো পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করে তাদের নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে।  আর কিসের ভিত্তিতে এই মূল্যায়নটি হবে তার জন্য কয়েকটি বিকল্প ঠিক করেছে শিক্ষাবোর্ডগুলো।


বৈঠক শেষে সভার সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক এসব কথা বলেন।

ঢাকা বোর্ডে অনুষ্ঠিত এই সভায় শিক্ষাবোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানেরা উপস্থিত ছিলেন।


তবে এই সভায় আটকে থাকা উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ মহামারির এই সময়ে  H.S.C পরীক্ষা কবে হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা শিক্ষাবোর্ডগুলোর নেই।  এই সিদ্ধান্ত নিবে সরকার। আর ষষ্ঠ, সপ্তম এবং নবম শ্রেণির মূল্যায়নের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং  জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কাজ করছে। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এ বছর জেএসসি-জেডিসিতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৫ লাখ। করনোভাইরাসের কারণে গত ২৭ আগস্ট সরকার চলতি বছরের এই দুই পরীক্ষা  বাতিল ঘোষণা করে।


জেএসসি ও জেডিসি বাতিলের সময়ই বলা হয়েছিল স্ব স্ব বিদ্যালয়ে মূল্যায়ন করবে। আজকের সভায় মূলত জেএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় মূল্যায়নটি কীভাবে হবে সেটি ঠিক করা হয়েছে।


ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, জেএসসি পরীক্ষা বাতিল হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ ব্যবস্থায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের

যেকোনো পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (বেডু) একটি নির্দেশনা তৈরি করে দেবে।  আর এই নির্দেশনা তৈরির মূলনীতি হবে


মূল্যায়ন কিভাবে করা হবে  ? 


  1. করোনা শুরুর আগে ১৫ মার্চ পর্যন্ত যতটুকু ক্লাস হয়েছিল সেটি এবং এরপর সংসদ টিভি ও অনলাইনে যতটুকু ক্লাস হয়েছে সেটিকে বিবেচনা নিয়ে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা।
  2. এর সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্লাস শুরু করা গেলে সেই ক্লাসগুলোর ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা।
  3. আর না খুললে ১৫ মার্চ পর্যন্ত নেওয়া ক্লাস এবং টিভি ও অনলাইনে নেওয়া ক্লাসের ভিত্তিতে মূল্যায়নটি হবে।


আগামী December এর শেষ নাগাদ এই মূল্যায়নটি করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।

 করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে তখন যদি সশরীরে মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়, তাহলে সেটা করা। আর যদি সম্ভব না হয়, তাহলে অনলাইনসহ প্রতিষ্ঠানগুলো যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী এই মূল্যায়নটি করবে।  এই মূল্যায়নটি পরীক্ষার মাধ্যমে হবে, নাকি অন্য উপায়ে করা হবে সেটি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সুবিধামতো ঠিক করে নেবে। তবে মূল্যায়ন একটি হবেই।


আর পাঠ্যসূচির যে বিষয়গুলো পড়ানো সম্ভব হবে না, সেটি নবম শ্রেণির ক্লাসের সঙ্গে সংযোগ করে দেওয়া হবে বলে জানান অধ্যাপক. মু. জিয়াউল হক।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url